জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জি এম কাদেরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শাফিয়ার রহমান শাফি, সদস্য আব্দুর রহিম বাবলু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আতোয়ার রহমান, আইনজীবী ফেডারেশনের সদস্য মাকসুদার রহমান রুবেল।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও দলীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। রংপুর জাতীয় পার্টির দুর্গ। এ আসনে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। আমার সঙ্গে দলের অন্য কে এলো না এলো বড় কথা না।”
এদিকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করলেও এখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করেনি জাতীয় পার্টি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সারা দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। নির্বাচনের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে জাতীয় পার্টির যাবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে দলের চেয়ারম্যানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতারা অবগত নন বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিনুর আলম। তিনি বলেন, ‘‘দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পক্ষে তার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এছাড়া এই আসনে গত রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।”
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।




































