• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রচণ্ড দাবদাহে মেহেরপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত


মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম
প্রচণ্ড দাবদাহে মেহেরপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

একদিকে প্রচণ্ড দাবদাহ অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের জনজীবন। এক সপ্তাহ ধরে বয়ে যাওয়া দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও কয়েক দিন এমন বৈরী আবহাওয়া থাকতে পারে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এ  মূহুর্তে অতিরিক্ত পানি পান করা ও তরল খাবার খাওয়া উচিত। গেল এক সপ্তাহে জেলায় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করছে। সকাল হলেই বাড়তে শুরু করে তাপমাত্রা। এ আবহাওয়ায় সব থেকে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মিলন হোসেন বলেন, “আমরা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছি না। বার বার পানির পিপাসা লাগছে। আবার অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”

ঝাউবাড়িয়া গ্রামের মুকুল হোসেন বলেন, “আমি মাঠপর্যায়ে একটি চাকরি করি। নিয়মিত আমাকে মাঠে কাজ করতে যেতে হয় কিন্তু এই গরমে হাঁপিয়ে উঠেছি। আর পারছি না। এমন গরমে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে বিদ্যুতের চরম লোডশেডিং। সব মিলিয়ে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।”

শরবত বিক্রেতা মখলেসুর বলেন, “এই গরমে শরবতের চাহিদা বেড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে আমাদেরও কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তবু উপায় নেই পেট তো চালাতে হবে।”

কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, “এই গরমে জমিতে কাজ করতে পারছি না। খুব সকালে বের হয়ে কোনো রকমে কাজ শেষ করতে হচ্ছে। ফসলে বারবার সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচও বেশি হচ্ছে। আবার গরমের কারণে লেবারও পাওয়া যাচ্ছে না। কাজ না করলে আমরা ফসল কীভাবে পাব। কীভাবে আমাদের পরিবার চালাব।”

রিকশাচালক সোহেল রানা বলেন, “গরমে রিকশা চালাতে পারছি না। আবার রাস্তা ঘাটে মানুষের আনাগোনাও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের।”

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডা. মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, “এই গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। গরমের কারণে রোগির সংখ্যাও বাড়ছে। এই গরমে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এতে করে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘন ঘন পানি পান করা এবং রোদে প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভালো। এছাড়া বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে।” 

Link copied!