হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর নীলফামারীতে ৮৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
ইতিমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। রঙের আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নানা রঙে-ঢঙে। পূজা ঘনিয়ে আসায় এখন রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি প্রতিমাকে রংতুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা। চলছে সাজসজ্জার কাজও। দেবী দুর্গার সঙ্গে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী দেবীকেও। দম ফেলার ফুরসত নেই মৃৎশিল্পীদের।
জেলা সদরে পৌরসভাসহ ২৮৬টি, সৈয়দপুর পৌরসভাসহ ৮২টি, ডোমারে ১০৫টি, ডিমলায় ৭৬টি, জলঢাকায় ১৯০টি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৪৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে নীলফামারীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন র্যাব-১৩-কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে শান্তিতে পূজা উদযাপন করতে পারে এবং কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে।”
এ বিষয়ে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, আসন্ন পূজাকে সামনে রেখে সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সনাতন ধর্মের এ প্রধান উৎসবে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য জেলা পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।