লক্ষ্মীপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে আবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার (১৯ নভেম্বর) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। অটোরিকশা ছিনতাই করতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মুরাদকে হত্যা করে আবু। গ্রেপ্তার আবু সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত মুরাদ দক্ষিণ আন্ধার মানিক গ্রামের মনু মিয়া বাড়ির আজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায়ই তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বের হতেন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুরাদ তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এরপর আর ঘরে ফেরেননি। পরিবারসহ স্বজনরা সম্ভাব্য স্থানে খুঁজলেও কোথাও তার সন্ধান পায়নি। পর দিন দুপুরে মুরাদের সন্ধানসহ প্রতিবেশি সজিব ও আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তার মা মরিয়ম বেগম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনার ৪ দিন পর ১১ নভেম্বর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানক্ষেতে মুরাদের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্বজনরা গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তবে অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার নিহতের মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, “অটোরিকশাচালক মুরাদ হত্যার ঘটনায় ঘাতককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। আদালতে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছিনতাই অটোরিকশা উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আসামি জানিয়েছেন, তিনি একাই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে আমরা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছি। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আপনার মতামত লিখুন :