ফেনীতে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে সুলতানা আক্তার খুকুমনি নামের এক তরুণী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
সুলতানা আক্তার খুকুমনি ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের জাফর আহমেদের মেয়ে। তিন মাস আগে একই উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের জের কাছাড় গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোবারক হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
খুকুমনির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, বৃহস্পতিবার খুকুমনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
খুকুমনির বাবা জাফর আহমেদ বলেন, “তিন মাস আগে খুকুমনির বিয়ে হয়। ছেলে বিদেশ যাবে বলায় আমরা মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হই। এরপর বিদেশ যাবে বলে আমাদের কাছে যৌতুক চায়। আমি মেয়ে বিয়ে দিছি কষ্ট করে, আমার তো চারআনা দেওয়ার মতোও তৌফিক নাই। যৌতুকের জন্য মেয়েকে প্রায়ই মারত। অনেকবার বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করেছে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে জ্বালা-যন্ত্রণা দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তারা। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “সুলতানা আক্তার খুকুমনি নামে একজন মারা যাওয়ার সংবাদ আমাদের কাছে আছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”