• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগী ছাড়াল ৪ হাজার, মৃত্যু ১২


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩, ০২:৩২ পিএম
ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগী  ছাড়াল ৪ হাজার, মৃত্যু ১২

ফরিদপুরে চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসেই হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইতি মণ্ডল (২৮) নামের এক নারী মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে আরও ৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এই নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪ হাজার ১৫ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৬৭০ জন। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ১২ জনে।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৬ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন এবং ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন।

বর্তমানে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই হাসপাতালে রয়েছেন ১৬১ জন। এ ছাড়া ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ জন, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জন, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১ জন এবং ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, “ফরিদপুরে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লিফলেট বিতরণ ও মশা নিধন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুতই আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে।”

Link copied!