বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার-ঢাকা রুটে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোর্তজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম মোর্তজা বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যার আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারে আঘাত হানার কথা বলা হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার (১৩ মে) সকাল সাতটা থেকে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দরের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।”
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কক্সবাজার-ঢাকা রুটে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান, ইউএস–বাংলা, নভোএয়ারসহ চারটি সংস্থার অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ চলাচল করছে। দৈনিক অন্তত ৪০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া কক্সবাজার উপকূলের হ্যাচারিগুলোয় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির পোনা খুলনায় পরিবহন করা হয় কক্সবাজার বিমানবন্দর দিয়ে একাধিক কার্গো উড়োজাহাজে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আজ সকাল থেকে কক্সবাজার-যশোর রুটেও কার্গো উড়োজাহাজের চলাচল বন্ধ আছে।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :