পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনো এক সপ্তাহ বাকি। সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্তজুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনের কথা। নিজেদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে উদ্বেলিত বরগুনার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এরই মধ্যে প্রতিমা রং দিয়ে প্রস্তুত করে রেখেছেন মৃৎশিল্পীরা। অন্যদিকে রংবেরঙের সাজে সেজেছে মন্দিরের চারপাশ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার শাখার তথ্যমতে, বরগুনা জেলায় ১৫২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ২৩টি মণ্ডপ, পাথরঘাটা উপজেলায় ৪৮টি মণ্ডপ, বামনা উপজেলার ১৬টি মণ্ডপ, বেতাগী উপজেলায় ৩৮টি মণ্ডপ, আমতলী ১৪ এবং তালতলী উপজেলায় ১৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠিত হবে।
পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর থেকে শুরু করে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর। মণ্ডপে মণ্ডপে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও।
ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি সুখরঞ্জন শীল বলেন, বরগুনা রংতুলিতে সেজেছে প্রতিমা। জেলার ৬টি উপজেলার সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক প্রেরিত দুর্গাপূজা মণ্ডপের তালিকায় ১৫২টি দুর্গাপূজামণ্ডপের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার আবদুছ সালাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম থাকবে। এ ছাড়াও র্যাবের মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।