• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সিজারে শিশুর মৃত্যু, একদিন পর মারা গেলেন মা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম
সিজারে শিশুর মৃত্যু, একদিন পর মারা গেলেন মা

ফরিদপুরে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে প্রসবকৃত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার একদিন পর মারা যান শিশুর মা সুমি আক্তার (৩০)।

শুক্রবার (৫ মে) বিকেল ৫টায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূ সুমি আক্তার মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় প্রসবকৃত শিশুর মৃত্যু হয়।

সুমি আক্তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গেরাখালা দিঘীরপাড় এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।

হাসপাতাল ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুমি আক্তারের প্রসববেদনা উঠলে স্বজনরা ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে সিজার করার জন্য বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা জানান গৃহবধূর গর্ভের শিশু উল্টে আছে এবং তার পেটে টিউমার রয়েছে। পরে সিজার করার সময় গৃহবধূর অবস্থা সংকটপূর্ণ হলে শিশুটিকে কয়েক টুকরো করে কেটে বের করা। এ সময় ওই গৃহবধূকে সংকটপূর্ণ অবস্থায় হাসপাতালটির আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে কয়েক ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার (৫ মে) বিকেল ৫টায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হলে সন্ধ্যায় মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রাতেই দাফন করা হয় বলে জানান গৃহবধূর স্বজনরা।

সুমি আক্তারের স্বামী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, তার স্ত্রীর আগে-পরে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো রিপোর্টে পেটে টিউমারের কথা বলা হয়নি। এমনকি ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজার করার আগের পরীক্ষায়ও টিউমারের কোনো কথা বলা হয়নি। যখন অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে সিজার করা হয় তখন বলা হয় পেটে টিউমার। একইসঙ্গে জানানো হয় শিশু গর্ভে উল্টে আছে। শিশুকে বাঁচালে মাকে বাঁচানো যাবে না। পরে মাকে বাঁচানোর কথা বলা হলেও মা-শিশু দুজনই মারা গেল।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, “এ ব্যাপারে জানতে চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিং ডেকেছি। আমাদের চিকিৎসকদের কোনো অবহেলার তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, “খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মায়ের জটিল অবস্থার কারণে শিশুটি মারা গেছে। এছাড়া মাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে একদিন পর ওই গৃহবধূ মারা গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর পুলিশকে অবহিত করেনি।”

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ব্যাপারে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!