কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পারিবারিক কলহের জেরে কালু মিয়া (৩৫) নামে এক ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বড় বোন আমেনা বেগম (৩৮)।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে শহরের ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে কালু পলাতক। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত আমেনা বেগম (৩৮) তিন সন্তানের জননী। স্বামী নাঈম মিয়া প্রবাসে থাকেন। অভিযুক্ত ভাই মো. কাল্লু মিয়া (৩৫) ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকার মো. আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানান, আমেনা বেগম বাবার বাড়ির সম্পত্তি পাওয়ার পর থেকে সেখানেই বাড়ি করে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছোট ভাই কাল্লু মিয়ার সঙ্গে বড় বোন আমেনার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে বোন আমেনাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে কাল্লু। এ সময় স্থানীয়রা আমেনাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে তার মরদেহ রাত আনুমানিক আটটার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।