• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ, হাসপাতালে স্বতন্ত্র প্রার্থী


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ০২:০৩ পিএম
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ, হাসপাতালে স্বতন্ত্র প্রার্থী
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। ছবি : প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ইটাখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরসহ দুজনকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে নৌকা মার্কার আহত দুই সমর্থককে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী।

অন্যদিকে কাঁচি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর।

সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই হাসপাতাল চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক সিও কলোনি ঘুরে ডিসি অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন তারা।

পরে রাত ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী উপস্থিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে চলে যান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বলেন, “ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে আমি ইটাখোলা বাজারে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। এসময় নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক সময় তারা আমার মুজিব কোট খুলে নেয় ও পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। পরে পুলিশ প্রশাসন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আমি হামলাকারীদের শাস্তি চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই।”

অন্যদিকে নৌকার সমর্থক কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, নৌকার দুজন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তারা যেসব অভিযোগ করছে তা মিথ্যা, সত্য নয়।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, থানায় মামলা করার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!