• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

টানা ৫দিনের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম
টানা ৫দিনের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর

পবিত্র শবে কদর, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদুল ফিতর এর টানা ৫ দিনের ছুটিতে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীর চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

দুই দেশের সিএন্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) পবিত্র শবে কদরের ছুটি, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি, ২১ ও ২২ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি, (২৩ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বন্ধ থাকবে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম।

এদিকে টানা ছুটির কারনে সীমান্তের দুইপাশের বন্দরে ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে। বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিংয়ে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, “বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে রোববার (২৩ এপ্রিল) সরকারি ছুটি ঘোষণা হলেও আগামী মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। কাস্টম ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করতে রওনা দিবেন। তারপর সরকার ঈদের তিনদিন আগে ও পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে বলে।”

বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।”  

এ বিষযে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, “ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে।”  

Link copied!