• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

হত্যার পর মরদেহ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন সৎমা


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
হত্যার পর মরদেহ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন সৎমা

যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকে জোনাকি (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে হত্যার দায় শিকার করেছেন সৎমা নার্গিস বেগম।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে জোনাকির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, মৃতের মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় শিশুটির সৎমাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর হত্যার দায় শিকার করেন নার্গিস বেগম। এরপর রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থল তার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিনি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়।

যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, নার্গিস বেগম জানিয়েছেন তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছেন। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই যখন জোনাকিকে না পেয়ে থানায় জিডি করতে যায়, সেই সুযোগে মরদেহ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয় জোনাকি। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার শিশুটির বাবার বাড়ির পেছনের ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Link copied!