জামালপুর জেলার ইসলামপুরে কাটমা গ্রামের মজনু মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজানিশা গ্রামের ফখরুল ইসলামের নামের এক শিশুর ট্রেন কাটা মরদেহ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় আদালতের আদেশ মোতাবেক চার মাস পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) পুলিশের উপস্থিতিতে সেই শিশুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেন জামালপুরের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট এমদাদুল হোসেন।
জানা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার কাটমা গ্রামের আহাদ আলী মাদ্রাসা পড়ুয়া মজনু মিয়া (১৪) চলতি বছরের ৭ জুলাই নিখোঁজ হয়। এরপর ১৫ জুলাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর পান নিখোঁজ মজনু মিয়া টঙ্গী এলাকায় ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেছেন। পরে মজনু মিয়ার পরিবারের লোকজন আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মজনু মিয়ার মরদেহ নিয়ে ইসলামপুরের কাটমা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়ী জেলার সদর উপজেলার উজানিশা গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ফখরুল ইসলাম (১৪) চলতি বছরের ১৫ জুলাই নিখোঁজ হয়। টঙ্গীতে ট্রেন কাটার খবরটি জানার পর ফখরুল ইসলামের পরিবার দাবি করে ওই শিশুর নাম ফখরুল ইসলাম। পরে ফখরুল ইসলামের পরিবার ইসলামপুর উপজেলার কাটমা গ্রামের আহাদ আলীর কাছে মরদেহ দাবি করে।
এই অবস্থায় দাফন করা মরদেহটি ফখরুল ইসলামের দাবি করে তার পরিবার আদালতে একটি মামলা করে। ঘটনা সুরাহায় আদালত ডিএনএ টেস্ট করার জন্য আহাদ আলীর ছেলে মজনু মিয়া নামে যে শিশুর মরদেহ দাফন করা হয়, সেই মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হোসেন জানান, লাশের ডিএনএ টেস্ট করার পর যার পরিবারের সঙ্গে মিলে যাবে সেই পরিবারকেই লাশ দেওয়া হবে।