যশোরের শার্শা উপজেলার কৃষকদের মাঝে পাট চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় এবারও লাভের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, প্রণোদনার মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ কৃষককে এক কেজি করে পাটের বীজ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কম-বেশি সব ইউনিয়নেই পাটের আবাদ হয়ে থাকে। শার্শা উপজেলা অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় সেখানে পাটের আবাদ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। কৃষকরা বর্তমান পাটের বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলার নিজামপুর ও ডিহি ও লক্ষণপুর ইউনিয়নের কয়েকজন পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩৩ শতকে বিঘা প্রতি জমিতে পাট চাষ বাবদ বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে তা ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৯ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।
এ বছর তারা দুই জাতের পাটের আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের পাট বীজ ও বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এই এলাকায় পাটের হাট হিসেবে প্রায় প্রতিটি বাজার পরিচিত। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে বেপারিরা এসে পাট কিনে নিয়ে যান।
এলাকার পাট চাষিদের মতে, তারা ধানের মতো পাটের বাজারও সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা সরকারিভাবে পাটের দাম নির্ধারণ ও পাট ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণের দাবিও জানান।
এবিষয়ে শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাটের চাষ তেমন বৃদ্ধি হয়নি। চলতি বছরে উপজেলার ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ফলন ভালো হবে।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































