বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রান্নাঘরের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালের শেখ রাসেল স্ক্যানু ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের রান্নাঘর ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশে নারিকেল গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুটিকে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তাসকিয়া।
জানা যায়, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের রান্নাঘর ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশ থেকে একটি নবজাতক শিশু কান্না করেছিল। এসময় রান্নাঘরে থাকা হাসপাতালের একজন কর্মচারী কান্নার আওয়াজ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর হাসপাতালের আরএমও এসে উদ্ধার করে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে খোঁজখবর নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের পরিচ্ছন্নকর্মী (যিনি প্রথম দেখতে পেয়েছেন) হোসনে আরা বেগম বলেন, “আমি সকালে শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে শিশুকে দেখে আমার স্যারদের জানাই। পরে স্যারসহ আমি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই।”
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ (নার্স) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, “আমাদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় শেখ রাসেল স্ক্যানু ওয়ার্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে শিশুটি।”
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকাহ্ বলেন, “সকাল ১০টার দিকে আমার হসপিটালের একজন পরিচ্ছন্নকর্মী নবজাতকের কথা জানালে, আমি উদ্ধার করে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য রেখে দিয়েছি। পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পুলিশ এসে তথ্য নিয়ে গেছে সাধারণ ডায়রির জন্য। সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। পরবর্তীতে প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে হয়তো কোন একটি শিশু কল্যাণ বোর্ডে রাখা হবে।”
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ (সুপার ক্রাইম ও অর্থ) মো. মোজাম্মেল হক রেজা বলেন, “উদ্ধার হওয়া শিশুটির পরিচয় খুঁজতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিশু কল্যাণ বোর্ডে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে শিশুটির সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেও সচেতন রয়েছি আমরা।”
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































