গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচন সমন্বয়ক ও সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর বলেছেন, “একটা পোস্টার/লিফলেট দিতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়। এটা কোন ধরনের ভোট? কোন ধরনের প্রচার? আমরা তো কোনো প্রার্থীকে এখানে বাধা দেইনি। এখানে সাড়ে তিনশ জনের মতো কাউন্সিলর প্রার্থীসহ আরও সাতজন মেয়র প্রার্থী আছেন, আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। কোনো রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে আমরা তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করি।”
শনিবার (২০ মে) রাত ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ছয়দানায় নিজ বাড়ি টঙ্গীতে হামলা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক এ মেয়র বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কয়েকটা টিভি চ্যানেলকে উস্কে দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যেন মিথ্যা প্রচার করা হয়। এখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। আমাকে এবং আমার মাকে যেন টিভিতে না দেখানো হয়। আমরা সব সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা চাচ্ছি। কারণ গাজীপুরের মানুষ ভোট দেবে, প্রত্যেকেই একটা করে ভোটের মালিক।”
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণসহ সরকারে কাছে আকুল আবেদন করছি, নির্বাচনটা যদি মনে করেন সুষ্ঠু দেবেন বা সুষ্ঠু করাবেন তাহলে এখানে ভোটটা রাখেন। না হলে আপনাদের প্রার্থীকে আপনারা ডিক্লারেশনের মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারেন। এতে আমাদের কোনো ধরনের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু ভোটের নামে যেন তামাশা না হয়, এটা আমরা সবার কাছে আকুল আবেদন করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আরও বলেন, “আমি এখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম। তিন বছর দায়িত্ব পালন করার পর ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে আমার মেয়রের পদটা বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই হিসেবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই যেহেতু নির্বাচন কমিশনার এখানে তফসিল দিয়েছেন, আমার মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। একটা পরিকল্পিত শহর গড়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন করছেন। আমার মা বলেছেন, আমি নির্বাচন কমিশনারকে সহযোগিতা করতে চাই, সরকারকেও সহযোগিতা করতে চাই। গাজীপুরে একটা ভোট হোক, ভোটে যেন হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ লাইন ধরে নিজের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ভোটটা যেন দিতে পারেন।”
তিনি বলেন, “মা বলেছেন, তুমি সন্তান হিসেবে আমার পাশে থাকো, আমিও মায়ের পাশে আছি। যারা আওয়ামী লীগ বা সরকারের পক্ষে নির্বাচন করছেন তাদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমরা যেকোনো প্রার্থীকে স্বাগত জানাই। আমার মায়ের বয়স সত্তর, ওনি যখন নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছেন গাজীপুরে। বিশেষ করে টঙ্গীতে কয়েকটি এলাকায় যাওয়ার পর আমাকে এবং মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন কিছু সন্ত্রাসী।”
সাবেক এ মেয়র আরও বলেন, “আমি নির্বাচিত হওয়ার পর তিন বছর গাজীপুরে কোনো হত্যা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। গাজীপুরে যদি অনিয়মের নির্বাচন হয়, যদি পেশী শক্তির মানুষ আবার নির্বাচিত হয়, তাহলে টঙ্গীসহ গাজীপুরকে তারা তছনছ করে দেবে।”

































