• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

এমপি মকবুলের ২০ বিঘা জমির মূল্য ২ হাজার টাকা


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম
এমপি মকবুলের ২০ বিঘা জমির মূল্য ২ হাজার টাকা
পাবনা-৩ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন তার ২০ বিঘা জমির মূল্য ২ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। তার দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, “১৯৭২ সালে তিনি ১০০ টাকা বিঘা হিসেবে এই ২০ বিঘা জমি কিনেছি। সেই সময় থেকে আয়কর ফাইলে এই জমির মূল্য যেভাবে ধরা হয়েছে, আমি সেভাবেই তথ্য দিয়েছি।”

এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রার্থী আয়কর ফাইল ধরেই হয়তো এমন তথ্য দাখিল করেছেন। বর্তমান মূল্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এমপি মকবুল হোসেন দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামায় আয় দেখিয়েছেন ৩২ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ২০০ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হলফনামায় আয় দেখিয়েছিলেন ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৮০৮ টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৭১ টাকা। আর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৪২১ টাকার অতিরিক্ত সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তার স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পত্তি এক লাখ টাকা মূল্যের দশমিক ৯০ একর জমি, অকৃষি জমির মূল্য বাবদ ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং একটি বাড়ির দাম বাবদ ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা দেখিয়েছেন। একইসঙ্গে স্ত্রীর নামে ১৫ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তির ঘরে তিনবারের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, কৃষিখাত থেকে প্রতি বছর তার আয় ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা, প্রতি বছর বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫১০ টাকা, জমি ইজারা থেকে প্রতি বছর পান দেড় লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী পেয়েছেন ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এমপি মকবুলের নামে ব্যাংকে নগদ আছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, নিজের প্রাইভেটকারসহ অন্য যানবাহনের মূল্য ধরেছেন ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সম্পদ আছে ২ লাখ ৩ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ টাকার, ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

Link copied!