কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী বাজারে বাসচাপায় দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ত্রিমোহনী বাজারে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে ঢাকাগামী দূরপাল্লার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ব্যক্তি ও অটোরিকশাকে চাপা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রাম সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর ব্যক্তিদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি অটোচালক আব্দুল হান্নান (৪৫)। তিনি সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের টগরাইহাটের মৃত নজির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। নিহত অপর ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘আমার পরিবহন’ নামে একটি বাস ত্রিমোহনী বাজার মোড় অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পশ্চিমে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ব্যক্তি ও অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে স্থানীয় একটি দোকানে উঠে যায়। এতে করে ওই স্থানে থাকা অটোরিকশা চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহন হন। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুল হান্নান নামে এক অটোচালককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অপর তিনজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান শিপন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সদর থানা পুলিশ জানায়, নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। হান্নান নামে অপর ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এসআই জাহিদ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও বাস উদ্ধার করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।