চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নাচোল থানার এজাহারভুক্ত চাঁদাবাজি মামলার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে সভা করেছেন ইউএনও এবং ওসি।
ইউএনও এবং ওসির উপস্থিতে কীভাবে এজাহারভুক্ত আসামি সভায় অংশগ্রহণ করেন তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান হওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় নাচোল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। সভায় নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ওসির সামনের চেয়ারে বসে ছিলেন নাচোল থানার এজাহারভুক্ত চাঁদাবাজি মামলার আসামি কসবা ইউপির চেয়ারম্যান আল মেহারাব গোলাম জাকারিয়া। ওসির উপস্থিতিতে কীভাবে আসামি সভায় বসে থাকেন তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
ঘটনার একপর্যায়ে ইউএনও কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সভার ছবি তুলতে নিষেধ করেন। সভায় ওসি বক্তব্য দিয়ে জেলায় মিটিং আছে বলে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে সভায় কসবা ইউপির চেয়ারম্যান আল মেহারাব গোলাম জাকারিয়া অভিযোগ করে বলেন, “ওসি মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন। আমাকেও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই ওসির আমি বিচার দাবি করছি।”
সভায় বিএনপি নেতা দুরুল হোদা বলেন, “জাকারিয়া চেয়ারম্যানের ওপর ওসি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি চেয়ারম্যান নির্দোষ হয় তাহলে তাকে মামলা থেকে বাদ দিতে হবে; আর যদি নির্দোষ না হয় তাহলে ব্যবস্থা নিবেন। এভাবে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না।”
উল্লেখ্য, আগস্ট মাসে রাজশাহীর জনৈক আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে নাচোল থানায় চেয়ারম্যান আল মেহারাব গোলাম জাকারিয়াকে ৯নং আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এখন পর্যন্ত তিনি ওই মামলায় জামিন নেননি বলে নাচোল থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি সভায় যেতে চাচ্ছিলাম না; কিন্তু ইউএনও আমাকে বলেছেন ওই চেয়ারম্যান সভায় থাকবেন না। পরে গিয়ে দেখি আসামি সভায় বসে আছেন।”



































