লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এর আগে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
এরপর ফুটফুটে নবজাতককে দেখতে আশপাশে মানুষজন ভিড় জমান সেখানে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তার সঙ্গে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “রাতে অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। এতে প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নিই। আর শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা স্থানীয় কেউই দেখেনি।”
সদর হাসপাতালের এক নারী জানান, শুক্রবার সকালে শিশুটি সদর হাসপাতালে জন্ম নেয়। তার পাশের বেডেই মাসহ শিশুটি ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে আর তাদের দেখা যায়নি। শিশুটিকে প্রথম থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ দেখা যাচ্ছিল। প্রসূতির কাছ থেকে তার স্বামীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেননি।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় জানান, শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটি সম্পর্কে আরও ভালো বলতে পারবেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। আর কেউ নিতে চাইলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































