নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ৪ বছরেও শেষ হয়নি ৭২মিটার দৈর্ঘ্য পারঘাটি সেতুর নির্মাণ কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের এমন ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
জানা গেছে, পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউপির পূনর্ভবা নদীর পারঘাটি নামক স্থানে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণ করতে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড ও মেসার্স কেয়া বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারী নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল চুক্তির এক সপ্তাহ পর ৮ এপ্রিল কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি। দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৪ বছরেও শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময় পার হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের জন্য বাড়তি সময়ের আবেদন করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই সেতুর নির্মাণ কাজে ধীরগতি ছিল। অল্প কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চালাচ্ছে। কাজের এমন ধীরগতির কারণে আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
নিতপুর সদরের আমজাদ আলী, পোরশা শা পাড়ার কবির রহমান, জামান ও আজাদ বলেন, “নদীর ওপারে তাদের জমি রয়েছে। নদীতে সাঁতার কেটে তাদের জমিতে যেতে হয়। ফসল ঘরে তুলতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদীর ওপারে এই এলাকার বহু মানুষের কয়েক হাজার বিঘা জমি রয়েছে। সবাইকে একই কষ্ট পোহাতে হয়। পারঘাটি নদীর ওপর বহুল কাঙ্ক্ষিত এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। দেড় বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু চার বছরেও সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। যেভাবে কাজ চলছে কত দিনে যে শেষ হবে, তা তারাই ভালো জানে।”
এবিষয়ে সেতুর ঠিকাদার সাদেকুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন সমস্যার কারণে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারিনি। পরে সময় বাড়িয়ে নিয়েছি। তবে চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।”
নওগাঁ জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ জানান, ৬ কৌটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা চুক্তি হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এর মধ্যে তারা এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা জনিয়েছেন ঠিকাদাররা।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































