ফরিদপুরে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। গত তিন সপ্তাহে ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসের ২১ জুলাই ফরিদপুরে প্রথম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ফরিদপুরের ৫ জন, রাজবাড়ীর ৪, মাদারীপুরের ১ জন এবং মাগুরার ১ জন।
এদিকে, শনিবার (১২ আগস্ট) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৯ জন। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে শনিবার পর্যন্ত ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৫৯ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪১০ জন।
ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৯ জন ডেঙ্গু রোগী ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৪, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ এবং ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪১০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০৪ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৪১, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ ও ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লিফলেট বিতরণ ও মশক নিধন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।