ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন নিয়ে সভা চলাকালে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের সঙ্গে ময়মনসিংহ মহানগর ও ময়মনসিংহ জেলার ছাত্র প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২টায় শুরু হওয়া এ সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ফুয়াদ হাসান ও সাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে কমিটি গঠন করা যায়, সে বিষয়ে তারা মতামত নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভা চলাকালে মো. রিয়াদ সারোয়ার নামে একজনের সঙ্গে মো. সিফাত নামে অপর একজনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। রিয়াদ সারোয়ার সভায় অংশ নেওয়া এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ডাক দেন সিফাত। ডাক শুনে সিফাতের কাছে যেতে বিলম্ব করায় তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় সিফাত রিয়াদ সারোয়ারকে ঘুষি দেন । পরে অন্যরা দুজনকে থামিয়ে দিলেও সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সভাস্থল থেকে বের হওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় রিয়াদ সারোয়ার ও তার বন্ধু আব্দুল কাদির শৈশব নামে দুজন আহত হন। তারা দুজনই আনন্দ মোহন কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রিয়াদ সারোয়ারকে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয় এবং আবদুল কাদির শৈশবকে মাথা ও গালে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় রাতেই রিয়াদ সারোয়ার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রিয়াদ সারোয়ার বলেন, “সভা চলাকালে এক বড় আপুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় ডাকতে থাকে সিফাত। যেতে দেরি হওয়ায় আমাকে ঘুষি দেয়। পরে সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ হয়ে সিফাত ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন।”
ওই সভায় থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, বাগ্বিতণ্ডার জেরে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ায়। সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এমন অবস্থা দেখে তাদের নিবৃত্ত করা হয়।
বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের জানানো হয়েছে জানিয়ে ময়মনসিংহের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় এক পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































