• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় যা বললেন ডিআইজি


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় যা বললেন ডিআইজি

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে উদ্ধার করা ১০ লাশের কারণ অনুসন্ধানে সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতাল মর্গে পৌঁছান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি দল। এ সময় ডিআইজি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতদের কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন। স্বজনেরাও ডিআইজির কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

স্বজনদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, “ট্রলারডুবির ঘটনা উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশের একাধিক দল। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

এসময় সেখানে সিআইডি ও পিবিআইর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১০ ব্যক্তিকে ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষে আটকিয়ে হাত পা বেঁধে হত্যার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে। কারা ঘটিয়েছে। আমাদের তদন্তকারীরা টিম  কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইয়ের দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।”

স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর প্রসঙ্গে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, “সবারই স্যাম্পল (নমুনা) রাখা হবে। কয়েকজনের লাশ নিতে তাদের আত্মীয় স্বজনেরা এসেছেন। তারা চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। লাশের আর কোনো দাবিদার না থাকলে সেই ক্ষেত্রে আমরা যদি সুনিশ্চিত হই, এই লাশ তাদের। তাহলে হস্তান্তর করতে আপত্তি নেই।”

জলদস্যুতার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, “কয়েক বছর আগে মহেশখালীতে অনেক জলদস্যু (৯৬ জন) আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাদের অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও অনেক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন।”

Link copied!