পাবনায় ৩৪৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১, ০৯:৫০ পিএম
পাবনায় ৩৪৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

পাবনার ৯টি উপজেলার ৩৪৬টি মণ্ডপে এ বছর শারদীয় দূর্গোৎসব ‘দুর্গাপূজা’ উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রতিমা তৈরি, প্রতিমায় রং তুলির আঁচড় দিতে শেষ মুহুর্তের ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। 

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলায় ৫৩টি, আটঘরিয়ায় ১৫টি, ঈশ্বরদীতে ৩০টি, চাটমোহরে ৫৫টি, ভাঙ্গুড়ায় ১৯টি, ফরিদপুরে ১৮টি, সাঁথিয়ায় ৪৪টি, বেড়ায় ৫৬টি ও সুজানগর উপজেলার ৫৬টি ম-পে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। মণ্ডপের প্রতিমাগুলো তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে রঙ তুলির আঁচড়। করোনার কারণে গত বছর পূজা না হওয়ায় এবার দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসবের আমেজ। বিপণিবিতানগুলোতেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেনাকাটার ধুম পড়েছে। 

পাবনা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কোমল চন্দ্র দাস বলেন, “গত বছর করোনার কারণে কোন উৎসব না হওয়ায়, এবার উৎসবমুখর পরিবেশ বেশি দেখা যাচ্ছে।” 

পাবনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদল ঘোষ বলেন, “সন্ধিপূজা রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নিরাপত্তাসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। ভক্তরা প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সে ব্যাপারে মন্দির কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন। আগামী ১১ অক্টোবর দেবীর বোধন ও ১৫ অক্টোবর বিসজর্নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। 

আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকেই সচেষ্ট হতে হবে।” 

এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, “পূজা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বৈঠক হয়েছে। নিরাপদ ও নিরাপত্তার সঙ্গে পূজা উদযাপনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।”

এছাড়া কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হলে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, পুলিশ হেল্প লাইন বা ৯৯৯ ফোন করার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।

এছাড়া জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, “প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভিজিলেন্স টিম করা হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের জন্য জেলায় মন্দিরের জন্য মোট ১৭৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আনন্দঘনভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তীথি অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবর দেবীর আমন্ত্রণ ও আসনে অধিবাসের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হবে। এরপর ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনে মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের শারদীয় এই উৎসব।”
 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!