সুনামগঞ্জে এক প্রসূতি নারী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসা বঞ্চিত ওই নারীর নাম রেসমিনা বেগম (২৫)। তিনি জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ডুলকর গ্রামের রেস্তোরাঁ শ্রমিক রুবেল মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেসমিনা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হলে তাকে জেলার দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা প্রসূতি রেসমিনা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে সিলেট নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সিলেটে নেওয়ার সামর্থ্য না তাকায় রুবেল মিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে ভর্তির অনুরোধ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাতে রাজি হয়নি। পরে কোন উপায় না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স খোঁজার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের বাইরে যান রুবেল মিয়া। ওই সময় রেসমিনার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে তাকে হাসপাতালের পাশে অবস্থিত দিরাই নির্বাচন অফিসের রাস্তার পাশে নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নারীর সহযোগিতায় সন্তান প্রসব করানো হয়। পরে মা ও নবজাতক শিশুকন্যাকে নির্বাচন অফিসের বারান্দায় নিয়ে রাখা হয়।
রুবেল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “টাকার জন্য আমার স্ত্রীকে ওরা হাসপাতালে ভর্তি করেনি। আমি গরীব বলে কি স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার কোন অধিকার আমার নাই। আমার প্রথম সন্তান এভাবে জন্ম নেবে আমি কোনদিন ভাবিনি।”
এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিদ্যুৎ রঞ্জন দাস সাংবাদিকদের বলেন, “রেসমিনা নামের কোন প্রসূতি মা হাসপাতালে এসেছিলেন বলে আমার জানা নেই। আসলে অবশ্যই সেবা দেওয়া হতো।”