ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম নামের এক সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর-০৩।
মামলায় আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ছোট ভাই মো. জাপান মোল্যাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি পারুল বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গায় রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে বাসের টিকেট নিয়ে কাউন্টারমাস্টার জাপান মোল্যার সঙ্গে মুজাহিদের প্রতিবেশী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোসলেম খানের ছেলে রমিজের ঝামেলা হয়। রমিজ বিষয়টি দৈনিক ঢাকা টাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমের সহযোগিতা চান। মুজাহিদ আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে মুজাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জাপান ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে মুজাহিদের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য মুজাহিদকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। তার ওপর হামলা চালানো জাপান আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমানের ছোট ভাই। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মুজাহিদুল ইসলাম জানান, হামলার সময় ২ নম্বর আসামি পারুল বেগম তার গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আসামিরা তার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।
আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম বলেন, “সহকর্মী মুজাহিদের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক গণমাধ্যমকর্মীরা নিন্দা জানিয়েছেন। আগামীকাল বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে আসামিদের গ্রেপ্তার ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি পারুল বেগমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।