জাতীয় শোক দিবসের প্যান্ডেল ভাঙচুরের অভিযোগে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনসহ ১০৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে দাউদকান্দিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিচারক মো. গোলাম মাহবুব খান কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে ৪ অক্টোবর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সাদিকুর রহমান সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোকতার হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা পাটোয়ারী, মারুকা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসনে প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আল আমীন, হাজী বাবুল, কাশের সওদাগর, শামীম প্রধান, রবিন, সাইফুল, নাঈমুর রাব্বি, মারুফ মিয়া, মাসুম, সোহেল, হান্নান, আনোয়ার, রুবেল, হযরত আলী, ফয়সাল, দুলন ফাভেজ, শাহীন, মো. সালামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জন।
আদালত সূত্র জানায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ২৭ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে উপজেলার চক্রাতলা বাজার বালুর মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে প্যান্ডেল করা হলে (২৬ আগস্ট) বৃহস্পতিবার রাতে আসামিরা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আজ দুপুরে স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন মজুমদার বলেন, শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে দাউদকান্দি ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় আমাদের।
বাদী আরও বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ও আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে তারা। এরা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে না। যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করত হলে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। আসলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাকের নাতি। তার জন্যই আগস্ট মাস এলেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে। প্যান্ডেল ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো কাগজপত্র আমরা হাতে পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





































