• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি সাঁকো


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০৮:৪০ পিএম
শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি সাঁকো

প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খু‌লে‌ছে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকা‌ল থে‌কেই প্র‌তি‌টি স্কু‌লের সাম‌নে দেখা যায় অভিভাবকসহ শিক্ষার্থী‌দের ভিড়। অনেক বিদ্যাল‌য়েই শিক্ষার্থী‌দের ফুল দি‌য়ে বরণ ক‌রে নেন শিক্ষকরা। এছাড়া সবার মাস্ক পড়া নি‌শ্চিত ও শিক্ষার্থী‌দের স্বাস্থ্যবি‌ধি মে‌নে নিরাপদ দূর‌ত্ব বজায় রেখে শ্রেণিক‌ক্ষে বস‌তে দেখা যায়। 

তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায় পদ্মা বিধৌত রাজবাড়ীর অনেক বিদ‍্যালয়ে। যেখানে যাতায়াতের পথ এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে ওইসব বিদ‍্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই রয়েছে অনুপস্থিত।

শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়।

সম্প্রতি পদ্মাপাড়ের এই বিদ‍্যালয়টির চারপাশে বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল। গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি কমায় বন‍্যা পরিস্থিতি উন্নতি  হলেও বিদ‍্যালয়ে যাতায়াতের পথ এখনো রয়েছে পানির নিচে। ফলে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ‍্যালয় থেকে দেড়শ ফিট দূরে রয়েছে বিশ ফিটের বাঁশের সাঁকো। চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটি উঁচু হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই পারপার হতে পারে না। ফলে বেড়িবাঁধ এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই অনুপস্থিত।

বিদ‍্যালয় সূত্রে জানা যায়, মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১০৮ জন।  উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেড়িবাঁধ এলাকায় হওয়ায়  অনুপস্থিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ৫জন এবং সকলেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত।

চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমান আলী ফকির জানান, স্বাস্থ‍্যবিধি মেনেই তারা ক্লাসে পাঠদান দিচ্ছে। প্রথম দিনে ৯০ শতাংশ  শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেড়িবাঁধ এলাকায় হওয়ায় অনুপস্থিত রয়েছে। কারণ বিদ‍্যালয়টিতে আসার পথ পানিতে তলিয়ে আছে। 

প্রধান শিক্ষক আরও জানান, যেহেতু বিদ‍্যালয়টিতে আসা যাওয়ার জন‍্য বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা। তাই পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারবে না। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই পানি সরে গেলে সব শিক্ষার্থীই বিদ‍্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবে।

Link copied!