ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের শিহিপুর একটি গ্রাম। যেখানে রাস্তা নেই, কালভার্টও নেই। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে এ এলাকার শত শত পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিহিপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার নামমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা। গ্রামের মানুষ কাদা-পানির মধ্য দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছে তাদের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম। এ যেন কাদাপানির সাথে একেবারে মাখামাখি অবস্থা। এখানে রাস্তা নেই বললেই চলে। তারপর আবার পাকা রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে। কোনো পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে হলে কাঁধে করে ঝুলিয়ে নিয়ে যেতে হয় দীর্ঘ পথ।
এলাকাবাসী জানায়, আগে এখান দিয়ে সরকারি হালট ছিল। তারপর বিগত বছর দুয়েক আগে সামান্য পরিমাণে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয় নামমাত্র রাস্তা; যা বৃষ্টির ফলে ভেঙে জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনভর কাদাপানির মধ্য দিয়ে থাকার ফলে আক্রান্ত হচ্ছে নানা পানিবাহিত রোগে। আবার কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছেও নিতেও পারছে না। নামাজ পড়তে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। এ যেন পানি আসার আগেই বর্ষা।
শিহিপুর যেন পিছিয়ে পড়া একটি অবহেলিত গ্রামের নাম। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৩/৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও উন্নয়নের প্রায় কোন ছোঁয়াই লাগেনি এই গ্রামে। শিহিপুর গ্রামে যাতায়াতের বেশ কয়েকটি রাস্তা থাকলেও একটি বাদে সবই কাঁচা। আর বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তায় চলাফেরা কষ্টকর, সেই সাথে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাও যায় তলিয়ে। ইটের তৈরি রাস্তাটাও প্রায় নষ্ট হবার পথে, সব কিছু মিলে সামান্য বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে শিহিপুরবাসী।
স্থানীয়দের দাবী, গ্রামের ভেতরে যে রাস্তাটি আছে তাতে আরও ৩/৪ ফুট উঁচু করে মাটি কেটে ইট বা পাকা করলে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। দক্ষিণ পাড়ার রাস্তা কিছুটা উঁচু হলেও উত্তরপাড়ার রাস্তা খুব খারাপ ও নিচু। গ্রামের ভেতরের সব রাস্তাই উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে। স্থানীয়রা গ্রামের সড়ক উন্নয়নের জন্য সকলের নিকট সাহায্য চেয়েছেন।
রাস্তার বিষয়ে ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পরে ঐ গ্রামে বেশ কিছু রাস্তা নির্মাণ করেছি, আরও রাস্তা নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিআরডি অফিসে স্কিম দেওয়া হয়েছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, “আমরা চেষ্টা করবো ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ঐ এলাকার রাস্তার সমস্যা সমাধান করার।”