রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুজিত সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দিয়েছেন নাটোর-২ (নলডাঙ্গা-নাটোর সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল।
রোববার (৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগটি জমা দেন তিনি। তবে এখনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।
সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুজিত সরকার অনলাইন আইপি টিভিতে আমাকে সন্ত্রাসী, আমার কোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই ইত্যাদি বলে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করে অপরাধ করেছেন। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করে আমার মানহানি করেছেন।”
এমপি শিমুল আরো বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করায় আমার নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।” ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করেন জানান সংসদ সদস্য।
সংসদ সদস্য আরা বলেন, “নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ— বইয়ে আমার বাবার নামে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় নাটোর আদালতে মামলা করবো।”
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, নাটোরের সংসদ সদস্য বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন আছে। আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করার পর অভিযোগের সত্যতা পেলে রেকর্ড করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২৯ জুলাই প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিডি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুজিত সরকার। জিডিতে অধ্যাপক সুজিত কুমার উল্লেখ করেছিলেন, তিনি ২০০৯ সালে ‘নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। যার প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১০ ও ২০২১ সালে। বইয়ের ৬০০ নম্বর পাতায় ২১ নম্বর রাজাকার তালিকায় নাটোর-২ এর সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাবা ‘হাসান আলী সরদার’ এর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এমপি শিমুলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অপরিচিত অনেকেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় অধ্যাপক সুজিত সরকারের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) খারিজ করে দেয় রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল পুলিশ থানা।