জয়পুরহাটে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিহতের নাম শাহিনুর আকতার (৩০)।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় কালাই শহরের পাঁচশিরা-মাত্রাই সড়কের রেহেনা চাউল কল-২ নামে ধান শুখানোর চাতালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকে আজিবর রহমান পলাতক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহিনুর-আজিবর দম্পতির বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বুরুঙ্গি গ্রামে। তারা ২০ বছর ধরে কালাই শহরের বিভিন্ন ধানের চাতালে কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের দুই ছেলে আপন ও পরান চাতালে ছোট বোন খুশিকে নিয়ে মোবাইলে গেম খেলছিল। এ সময় তাদের মা শাহিনুর কাজের ফাঁকে এসে মোবাইল সেট কেড়ে নেয় এবং দুই ছেলেকে শাসন করে। এমন অবস্থা দেখে আজিবর তার স্ত্রীকে চড় মারে। এতে স্বামীর ওপর রাগ করে ওই মোবাইল সেট মেঝেতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন শাহিনুর। এ ঘটনা ক্ষিপ্ত হয়ে আজিবর তার স্ত্রী শাহিনুরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রতিবেশীরা মিলে শাহিনুরকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহিনুরের ছোট ছেলে পরান বলে, “মোবাইল ভাঙার জন্য বাবা এসে মাকে মারতে মারতে বুকে লাথি মারে। তখন মা মাটিতে পড়ে যায়। বাবা ও সবাই মিলে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার মা মারা গেছে।”
প্রতিবেশী রেজাউল করিম বলেন, “মারপিটের ঘটনার পর আমি এসে দেখি তার স্ত্রী মাটিতে পড়ে আছে। তখন ওর স্বামী এবং আমরা সবাই মিলে অটোভ্যান করে তাকে নিয়ে ক্ষেতলাল হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। শাহিনুরের মারা যাওয়া দেখে স্বামী আজিবর টাকা ভাংতি করার কথা বলে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আমরা বাধ্য হয়ে লাশ নিয়ে চাতালে আসি।”
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”