নড়াইলের সিঙ্গাশোলপুরে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় একজন সংখ্যালঘুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দীনের আদালতে মূর্তি ভাঙার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
তার নাম বিভূতিভূষণ বিশ্বাস পাভেল (৪৩)। তিনি শোলপুর গ্রামের হাজারীলাল বিশ্বাসের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, আজ সকালে বিভূতিভূষণকে সিঙ্গাশোলপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত, নড়াইল সদরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মূর্তি ভাঙার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওসি আরও জানান, বিভূতি জানিয়েছেন ইতিপূর্বে তাদের মন্দিরের প্রতিমার চোখে মুখে কে বা কারা খুঁচিয়ে দাগ বানিয়েছিল। সেই রাগ থেকে প্রতিমা ভেঙ্গেছে। এ ঘটনায় সদর মামলা হয়েছে।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য টিকাদার জানান, ১৮ আগস্ট রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা মন্দিরের ‘শান্তিমাতা’ ও ‘হরিচাঁদ ঠাকুর’ মূর্তি দুটি ভাঙচুর করে। ঘটনার পর মন্দির কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি জিডি করেন।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা মতুয়া সংঘের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।