ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২৩ অক্টোবর সারাদেশে আধাবেলা অবস্থান ও গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে শহরের ট্রাঙ্ক রোডের শ্রী শ্রী কালীমন্দির চত্বরে বক্তব্যে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন রানা দাশগুপ্ত।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, "দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সারাদেশে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর, হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।"
রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, "হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এখন সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও দলীয় লোকজনের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সরকার ও প্রশাসনে পাকিস্তানি ভর করেছে। দলের ভেতর খোন্দকার মোস্তাক আছে। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল পর্যায়ে যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।"
অভিযোগ তুলে রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, "এ ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা ও জনপ্রতিনিধিরা কোথায়? শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীতে মন্দিরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা এখানে একাত্তরকেও হার মানায়।"
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, সহ-সভাপতি ফেনী আদালতের সরকারী কৌসুলী (জিপি) প্রিয়রঞ্জন দত্ত।
সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি হিরা লাল চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি জে এল ভৌমিক, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, নিলু নাগ, শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগির ও রুমকি সেনগুপ্ত। সঞ্চালনায় জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল নাথ।