নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ৩টি মামলা সুষ্ঠু ও নিবিড় তদন্তের স্বার্থে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) এবং পুলিশ বাদী দুটি মামলা রয়েছে। এদিকে জেলা নতুন করে আরও তিনজনসহ মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০৪ জন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম জানান, হামলার দিন ব্যাংক রোডে দুটি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই জামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি এবং কলেজ রোডে তিনটি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। যতন সাহা ও প্রান্ত দাস নিহতের ঘটনায় ইসকনের পক্ষ থেকে ওই দিন রাতে শংকর দেবনাথ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনটি মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়জন আসামি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তিনজনকে।
কুমিল্লায় মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর নোয়াখালীর চৌমুহনীর শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র আশ্রম মন্দির ও শ্রীশ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে। যাতে ৪১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও সাড়ে সাত হাজার আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০৪ জন।