ভারতে পাচার হওয়া ১২ বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধারের পর ফেরত পাঠিয়েছে ওই দেশটি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ নারীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পাচার করা হয় বলে জানা যায়।
ফেরত আসা নারীরা হলেন নরসিংদীর মিতু বেগম, সাতক্ষীরার সুইটি, যশোরের শরিফা, সুমি, মাহফুজা, বরিশালের শায়লা, খুলনার আসমা, পাবনার মুক্তি, ঝিনাহদাহের নাজমা, মাকিনগঞ্জের চায়না, খুলনার নারগিস ও কুমিল্লার সেলিনা।
ফেরত আসা নারী সুইটি জানান, পারিবারিকভাবে দরিদ্র পরিবারের। ভারতে একটি কারখানায় তাকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে বাধ্য করে ঝুঁকিমূলক কাজে। সেখান থেকে তারা উদ্ধার হয়ে ফিরে আসে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহয়তা দিতে ১১ নারীকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারি এবং একজনকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি নামে এনজিও গ্রহণ করেছে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওলী সুলতানা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দুই বছর আগে সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। পাচারকারী ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জোর করে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত আসা নারীরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চাই আইনি সহয়তা করা হবে জানান তিনি।