• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০, ১৮ রজব ১৪৪৬

বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম
বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি

উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে পাবনার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি কমা-বাড়া শুরু করেছে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালের তথ্যমতে নগরবাড়ি যমুনা নদীর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়।

এছাড়া পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার ও বড়াল নদের বড়াল ব্রিজ পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর, ঈশ্বরদী, বেড়াসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় সবজি ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকালের পানি পরিমাপে যুমনা নদীতে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক দিনের তুলনায় পদ্মা, চলনবিল, বড়াল, গুমানি, চিকনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে।

জানা যায়, পদ্মা ও যমুনার তীরবর্তী নিচু এলাকাতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে উঠতি নানা ধরনের সবজি ও ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে তীরবর্তী জনসাধারণ। অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়িঘর সরানো শুরু করেছে। নদী ভাঙন ও পানিবন্দিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরকামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়লিয়া, বেড়া অঞ্চলের নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ইউনিয়নের পূর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, চরশাফুল্লা, খয়েরবাগান বাজারসহ চর এলাকা, সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর এলাকা, পাবনা সদরের আশুতোষপুর, বলরামপুর ও রানীনগর ভাঙন এবং পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।

নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক হেক্টর জমির নানা ফসল ও সবজি তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে শীত সামনে নিয়ে নানা সবজির ক্ষেত, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং আখ ও কলার ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যা-পানি বৃদ্ধি বা ভাঙনের চিত্রটা এখনো ত্রাণ দেওয়ার মতো নয়। তবে সরকারি ত্রাণসহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বসত ঘরবাড়ি হারিয়ে যারা অন্যত্র আশ্রয় নেবেন তখন বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হবে। বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যাবে।

Link copied!