• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০, ১৮ রজব ১৪৪৬

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় এক হামলাকারীসহ আরও দুইজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ ও মিলন নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লা উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নছিবুল হকের ছেলে। আহতরা হচ্ছেন নিহত হারুন অর রশিদের ভাতিজা রমিজ উদ্দিন (২৫) ও হামলাকারী গিয়াস উদ্দিন (৩০)।

নিহত হারুন মোল্লার ভাতিজা জামাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হারুন মোল্লার ভাই আমিনুল হকের বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করেন সাহাব উদ্দিন নামের একজন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমিনুল হক সাহাব উদ্দিনকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছকিদারহাট সামছুল হক ভূইয়া মসজিদে আমিনুল হক ও তার ভাতিজা সজীব (হারুন মোল্লার ছেলের) সঙ্গে সাহাব উদ্দিন, রিয়াদ, রিপন, নাছির, ফরহাদ, রহমানসহ কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছকিদারহাট ও তার আশপাশের এলাকায় হারুন মোল্লার ছেলে সজীবের ওপর হামলার জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে অবস্থান করে সাহাব উদ্দিন, রিয়াদ ও রিপন। বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ছকিদারহাটের দিকে আসছিলেন হারুন মোল্লা, আমিনুল হক ও রমিজ। পথে তালতলা এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। প্রথমে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান হারুন মোল্লা। এ সময় আমিনুল হক পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেত দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও আটকা পড়েন হারুন ও রমিজ। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে ছকিদারহাট বাজারে আসেন রমিজ। পরে সজীবসহ বাজারের লোকজন তালতলা এলাকায় গিয়ে সড়কের পাশের একটি ক্ষেতের পানির নিচ থেকে বিএনপি হারুন মোল্লার লাশ উদ্ধার করেন।  

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ২টি মোটরসাইকেলসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ দাফনের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িত মিলন ও সোহাগকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর সীমান্ত থেকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া গিয়াস উদ্দিন নামের আরও একজন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

Link copied!