রাজবাড়ীতে বালু কাটতে গিয়ে মাঝ পদ্মায় দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণে ৬ জন বালু কাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের দেহে ৫টি গুলি লাগে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজবাড়ী থেকে বালু কাটতে গেলে পাবনার জেলার নাজিরগঞ্জের থেকে কতিপয় কিছু দুর্বৃত্ত গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের পিটিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন বরিশাল জেলার সেন্টু মোল্লার ছেলে আবু তালেব মোল্লা (৩৫), চাঁদপুর জেলার সিদ্দিকের হোসেনের ছেলে মমিন হোসেন (৪২), ময়মনসিংহ জেলার সামছু শেখের ছেলে হাবিব শেখ (৩৪), চাঁদপুর জেলার আলী আহমেদের ছেলে আলী আকবর (৩০) এবং ভোলা জেলার খোরশেদ আলমের ছেলে মোশারফ শেখ (৩৪)।
এর মধ্যে আবু তালেবের শরীরের ৫টি গুলি লাগে এবং তার অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান।
সাইফুর রহমান বলেন, “তার (আবু তালেব) অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক থাকলেও ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছি। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। সবারই শরীরেই বেশ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কারো পায়ের হাড় ভেঙেছে। কারো বুকের পাঁজর। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।”
আহত শ্রমিকদের নিয়ে আসা আরেক শ্রমিক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা সকালে বালি কাটতে গেলে হঠাৎ করেই কিছু লোক আমাদের গুলি করে এবং বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি।”
আরেক শ্রমিক আব্দুল হান্নান জানান, “আমরা প্রতিদিনের মতন কাজ করতে গেলে ৫টি ট্রলারে এসে কিছু লোক আমাদের বাল্কহেডে গুলি করে। তারা ড্রেজার মেশিনের লোকদের মারধর করে ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেডটি নিয়ে চলে যায়।”
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদত হোসেন বলেন, “যেহেতু এটি রাজবাড়ীর সীমানার বাইরের ঘটনা সেহেতু এখানে আমাদের আইনি কোনো পদক্ষেপ নেবার সুযোগ নেই। আমি খবর পেয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এসেছি। যদি পাবনা জেলা পুলিশ থেকে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা চাওয়া হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




































