• ঢাকা
  • সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

পুলিশ পাহারায় চার পরিবারের ঈদ জামাত


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২১, ০৬:১৩ পিএম
পুলিশ পাহারায় চার পরিবারের ঈদ জামাত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চগড়ে এক মসজিদে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করায় পুলিশ পাহারায় চার পরিবারের সাতজন মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে ওই চার পরিবারের সদস্য মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেয়। এক দিন আগে ঈদের জামাত আদায়কে কেন্দ্র করে ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ পাহারায় ঈদের জামাত আদায় করে সাতজন মুসল্লি।

উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, মসজিদের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, গত রমজানের ঈদেও ওই ৪/৫টি পরিবারের সদস্যরা নারীদের নিয়ে মসজিদে একদিন আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। এরপর আমরা মসজিদের ৬৮টি পরিবারের মুসল্লিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারীদের নিয়ে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেব না। এবারও তারা নারীদের নিয়ে নামাজ আদায় করতে চেয়েছিলেন। বাধায় শুধু ৬/৭ জন মুসল্লি মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।

মসজিদের সভাপতি আব্দুল্লাহ বলেন, “কোরআনে নারী-পুরুষ সবার জন্য হুকুম সমান একারণে গত রমজান ঈদে আমরা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এবারও প্রায় চার পরিবারের পুরুষ ও নারীরা নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছিল। কিন্তু মসজিদের একদল মুসল্লি আমাদের মসজিদে নামাজ আদায়ে বাধা দেন। পরে পুলিশি পাহারায় আমরা কয়েকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছি।”

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া পিপিএম জানান, সকালে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করতে গেলে এসময় ওই মসজিদের ৬৮ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের পাহারায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় এ জামাত পড়ান ইমাম মনির হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মসজিদের অধীনে ৭২টি পরিবার বসবাস করেন। এরমধ্যে ৪টি পরিবার একদিন আগে নামাজ আদায়ের পক্ষে এবং ৬৮ পরিবার একদিন আগে ঈদের জামাত আদায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। যা পরবর্তীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!