লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় নৌ-পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে আমির হোসেন (৩০) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশ তার মৃত্যুর কারণ জানায়নি। এ সময় আহত হয়েছেন নৌ-পুলিশের পাঁচ সদস্য, একজন স্পিডবোট চালক ও ১০ জেলে।
রোববার (১০ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিরের বাড়ি ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামে।
আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত জেলেরা ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামের বাসিন্দা।
জাটকা রক্ষায় এপ্রিল ও মে দুই মাস দেশের ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের সময় নৌ-পুলিশের সঙ্গে জেলেদের এ সংঘর্ষ হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত মোট ১৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-পুলিশের মজুচৌধুরীর হাটের সদস্যরা লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন বিরোধী অভিযানে যান। এ সময় মজুচৌধুরীরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করছিলেন। নৌ-পুলিশ সেখানে গেলে জেলেরা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। জেলেরা সাতটি নৌকায় ছিলেন। জেলেরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করলে আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও পুলিশের স্পিডবোটের চালক আহত হন। অভিযানে একটি নৌকায় থাকা ১১ জেলেকে আহত অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আহত জেলেদের মধ্যে আমিরের অবস্থা গুরুতর ছিল। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহত আমিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আটক জেলেদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
গুলিতে জেলের মৃত্যু হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।