ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতিবছর বন্যায় চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত বুধবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর জয়পুর ঘনিয়ামোরা নামক স্থানে বাঁধ ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো পানি প্রবেশ করছে। ফলে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল রয়েছে পানিতে তলিয়ে। ইতিমধ্যে বন্যায় ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ অনেক গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে।
জয়পুর এলাকার আবদুল মালেক জানান, গত দুমাস আগেও একই স্থানে বাঁধের ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। পরে এটি মেরামত করা হয়। তাদের অভিযোগ, প্রতিবছরই নদীর বাঁধ ভাঙছে আর বাঁধ সংস্কারের নামে টাকা লোপাট করছেন জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে জেলা কৃষি ও মৎস্য বিভাগ এর তথ্যমতে এবার বন্যায় ১০৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৬ হেক্টর সবজিসহ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে এবং খুব দ্রুত তাদের সহযোগিতার করা হবে। চলতি বছরে এনিয়ে তিন দফায় বন্যা হানা দেওয়ায় প্রকট আকার ধারণ করেছে এখানকার সমস্যা।