কাল পবিত্র ঈদুল আযহা। পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। পাটুরিয়া ঘাট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে ছোট গাড়ি থেকে যাত্রীদের আগেই নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা ভিজে ঘাট এলাকায় যাচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে এবং ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
যাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা কম। আর সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি করেই নৌপথ পাড় হচ্ছেন সবাই। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গাড়িতে এক সিট ফাঁকা থাকার নির্দেশ থাকলেও তা অনেক বাস কর্তৃপক্ষই মানছে না।
ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাবেন তানজিনা। তিনি বলেন, “গাবতলী থেকে সেলফি পরিবহনে করে ঘাট এলাকায় এসেছি। তবে গাড়িগুলো সরাসরি ঘাট এলাকায় আসে না। আগেই নামিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘাটে এলাম। বৃষ্টির মধ্যে অনেক কষ্ট হয়েছে। আজ ভেবেছিলাম ঘাটে চাপ থাকবেনা। কিন্তু যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে।”
আরেক যাত্রী আমিনুল রহমান বলেন,“ প্রতি ঈদেই বাড়ি যাওয়ার সময় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। হয় সড়কপথে, না হয় নৌপথে। এরমধ্যে আবার নেমেছে বৃষ্টি। ঘাটে আসার সময়ই পরিবারের সবাই ভিজে গেছি। এখন বৃষ্টি কমলেই ফেরিতে উঠব। কী আর করব, এভাবেই যেতে হবে বাড়িতে।”
বাসচালক আনোয়ার হোসেনের জানান, তিন ঘণ্টা ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। দূরপাল্লার বাসের সাথে ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। কখন ওই পাড় যাবো বুঝতে পারছি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। সবগুলো ঘাটই সচল রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন, দূর পাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।