নাটোরে পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিচ্ছেন চাষিরা। এবার মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকটে পাট জাগ দিতে পারছেন না তারা।
যেসব চাষির নিজের জাগ দেওয়ার মতো পুকুর নেই, তারা অন্যের পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিচ্ছেন। এক বিঘা জমির পাট জাগ দিতে এক থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
নাটোর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় ৩০ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছর চাষ করা হয় ২৪ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে, যা গতবারের চেয়ে এবার ৫ হাজার ৭৭০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে।
কয়েক বছরে ধরে পাটের দাম ভালো থাকায় এ বছর নাটোর অধিক পরিমাণে পাট চাষ করা হয়েছে। বেশি ভাগ কৃষক এখন পাট প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও মৌসুমি বৃষ্টির অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক চাষি।
এদিকে নাটোরের, তেবাড়িয়া, বেলঘড়িয়া, চাঁনপুর, মোহনপুর, সিদ্দিরগ্রাম, দিঘাপতিয়া, তেলকপিসহ বাগাতিপাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পাট কেটে জমিতে ফেলে রেখেছেন কৃষক। অনেকে আবার পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিচ্ছেন।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার নাটোর জেলায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা পাট প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছেন না। আমরা শুনেছি তারা অন্যের পুকুরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে। আমরা প্রতিনিয়তই কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য।”