সুনামগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো ছুরি, রড, মোবাইল ও নগদ টাকা।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে পৃথকভাবে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীতে বালি ও পাথর পরিবহণকারী ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা ও কার্গো থেকে ২টি নৌকা দিয়ে চাঁদা উত্তোলনের সময় র্যাব অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেডের ৯জন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ছুরি, ৮টি লোহার রড ও ৯টি মোবাইলসহ নগদ দুই হাজার ২৩০টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে নদীতে চাঁদাবাজি করছিল। চাঁদাবাজদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীকে তার নিজ বসতবাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামে বাসিন্দা লম্পট আলী নুর। পরে এঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশ ধর্ষক আলী নুরকে গ্রেফতার করে এবং ধর্ষিতাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
র্যাব-৯ এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্নেল সিঞ্চন আহমেদ ও ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন পৃথক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষণকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।