• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

তিস্তা বদলে দিয়েছে চরের মানচিত্র


রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১, ০৯:৩০ পিএম
তিস্তা বদলে দিয়েছে চরের মানচিত্র

ভারী বর্ষণ আর দফায় দফায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বাড়া-কমার সঙ্গে নদীভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপারের মানুষজন। গত এক মাসে তিস্তার ভাঙন কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরের মানচিত্র বদলে দিয়েছে। ওই চরগ্রামে বসবাসরত তিন শতাধিক পরিবার আবাদি জমি ও গাছপালাসহ বসতভিটা হারিয়ে এখন নিঃস্ব। এছাড়া সেখানকার প্রায় এক হাজার পরিবারসহ মটুকপুর, চিলাখাল, সাউদপাড়া, কুড়িবিশ্বা, ইচলী, পাইকান হাজীপাড়া, মিনার বাজার, ছালাপাক, মর্নেয়া চরসহ নিম্ন এলাকার প্রায় চার হাজার পরিবার ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি।

সোমবার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিনবিনা এলাকায় দফায় দফায় বন্যা-ভাঙনে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। কয়েক শ একর আবাদি জমি গিলে খেয়েছে তিস্তা। বিনষ্ট হয়েছে সদ্য রোপণকৃত আমনের ক্ষেত। ভাঙন অব্যাহত থাকায় বিনবিনার পাকা রাস্তাসহ স্বেচ্ছাশ্রমের নির্মিত বাঁধ। চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায তিস্তার পানি ঢুকে গ্রামটির প্রায় এক হাজার পরিবার ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে।

নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া বিনবিনা এলাকার নেরগান মামুদ, আহাম্মদ আলী, আকবার আলী, মনতাজ কাজি, আবুল কালাম, আলিমুদ্দিন, ইমতিয়াজ, পারভিন বেগম, কামরুজ্জামান, মিলন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, জানান, গত এক মাস ধরে তিস্তার ভাঙনে তারাসহ গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া তিস্তার ভাঙনে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের আব্দুল মতিন, আসাদ আলী, পেয়ারি বেগম, আকলিমা খাতুন, মকবুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, লাভলু মিয়া, সেতার আলী, আলাউদ্দিন, মোস্তফা মিয়াসহ প্রায় এক হাজার পরিবার ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে।

কোলকোন্দ ইউনিয়েনর চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, এবার তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের বিনবিনা চরের তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে আছে। এসব মানুষ ত্রাণ নয়, ভাঙনরোধের ভালো পদক্ষেপ চায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম জানান, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে টিনসহ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!