ময়মনসিংহের নান্দাইলে টাকা ধার না দেওয়ায় বাড়িওয়ালাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন ভাড়াটে। এ ঘটনায় ভাড়াটে আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আবুল হাসানকে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফুলতলা গ্রামের চাঁন মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ফজলুল হক (৭৩) নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
অভিযুক্ত আবুল হাসান জেলার নান্দাইল উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফজলুল হকের বাসায় সপরিবার ভাড়া থেকে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকার করতেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের নান্দাইলে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়। নিহত ফজলুল হক তার স্ত্রী-সন্তানসহ শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। ৭-৮ আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে নরসিংদী সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়া নিজ বাসাতে আসেন।
প্রায় দেড় বছর আগে আবুল হাসান স্ত্রীকে নিয়ে ফজলুল হকের ভাড়া বাসায় ওঠেন। ভাড়া থাকার সুবাদে ফজলুল হকের সঙ্গে আবুল হাসানের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় আবুল হাসান স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে বাড়ির মালিক ফজলুল হকের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন। পরে আবারও টাকা ধার চান আবুল হাসান। ফজলুল হক টাকা দিতে অস্বীকার করলে আবুল হাসান তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
পরে কৌশলে ফজলুল হককে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আবুল হাসান নিজ বাড়ি নান্দাইলে বেড়াতে নিয়ে আসার পথে মোয়াজ্জেমপুর ইউপির কামালপুর গ্রামের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসতেই ধারালো দা দিয়ে ফজজুল হককে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেন। পরে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে দা কিছুটা দূরে রেখে দেন। হত্যার পর ফজলুল হকের সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল নিয়ে আবুল হাসান পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চৌকিদার মজিবুর রহমান বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
ময়মনসিংহ পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, জানতে গ্রেপ্তার আসামি আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”