ময়মনসিংহে ব্যাংক চেক প্রতারণা মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল প্রদান করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল হক।
মনিরুজ্জামান মামুন জেলার ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল হক জানান, পূর্ব সম্পর্কের সূত্রে মো. কামরুল ইসলামের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা ধার নেয় ছাত্রলীগ নেতা মামুন। পরে আলোচনার মাধ্যমে কামরুল ইসলামকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভালুকা শাখার অধিনে ১৮ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে ওই ছাত্রলীগ নেতা। কিন্তু পরবর্তীতে মামুনের একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম ওরফে চাঁন মিয়া বাদী হয়ে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।
মামলা চলাকালে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে স্বাক্ষর ভুয়া দাবি করে এক্সপার্টের আবেদন করলে টেস্টে হাতের লেখায় তার স্বাক্ষরের মিল পান আদালত। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে নেন। গড়িমসি করে আদালতের তারিখ পরিবর্তন করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। এরই মধ্যে ভালুকা তিতাস গ্যাসের অস্থায়ী পেট্রোলম্যান ভুক্তভোগী ওই কামরুল ইসলাম মামলার পেছনে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে চাকরি হারান।
আজ দুপুরে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ ওই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই বিচারিক বেঞ্চ ময়মনসিংহের মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাদী কামরুল জানান, আসামিকে টাকা দিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই মামলা চালাতে গিয়ে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন আদালতের মাধ্যমে তার প্রাপ্য টাকা ফেরত পাবেন, এতে করে তিনি অনেক খুশি।