• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এখন ডাকাত সরদার


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১, ০৮:৫৫ পিএম
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এখন ডাকাত সরদার

যশোরের বাঘারপাড়া থানায় কর্মরত অবস্থায় ডাকাতি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন কনস্টেবল মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের চাকরি হারান।

ছয় বছর পর বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সেই একই থানা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে তিনিসহ চারজন আটক হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন নড়াইলের নড়াগাতি থানার নয়নপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে ও পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবল মিজানুর রহমান (৪০), যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর এবং সেতাই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান (৩৫), সাতক্ষীরার সদরের মাছখোলা গ্রামের জমাত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও  শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫২)।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ২০১৫ সালে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় কর্মরত অবস্থায় কনস্টেবল মিজানুর রহমান ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় তিনি চাকরিচ্যুত হন। এরপর তিনি আন্তজেলা ডাকাত দল গঠন করেছেন। তার ডাকাত দলের সদস্য শার্শার গোগা ইউনিয়নের মেম্বর কামরুজ্জামানও রয়েছে। আটক ৪ ডাকাতকে আজ সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার  (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে যশোরের বাঘারপাড়ার সুকদেবনগর এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর থেকে স্থানীয় জনগণ একটি মাইক্রোবাসসহ চার ডাকাত সদস্যকে আটক করে। সংবাদ পেয়ে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করেন। এ সময় লুণ্ঠিত মাইক্রোবাস ও গাড়িতে থাকা দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেন।

তিনি আরও জানান, গাড়ির ড্রাইভার ইকবাল হোসেন ও আশরাফুজ্জামান তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা থেকে ১২ আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তারা রূপসা ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া থানাধীন গুটুদিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্র ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘারপাড়া থানাধীন সাইটখালী এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। স্থানীয় জনগণ তাদের উদ্ধার করে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। এরপর এলাকাবাসী মোবাইল ফোনে বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। এলাকার লোকজনের প্রচেষ্টার একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে সুকদেবনগর এলাকায় চারজন ডাকাতকে লুণ্ঠিত মাইক্রোবাসসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি।

আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুলনা মেট্রোপলিটনের খালিশপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের লুণ্ঠিত মাইক্রোবাস, নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার  টাকা, এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ২টি মোবাইল ফোনসহ  মোট ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার  টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার, দুটি বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়েছে।

Link copied!